সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলাপরিষদ সড়ক থেকে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি তিনটি গাছ কর্তন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ধর্মপুর থেকে উত্তরে শ্রীপুর ইউনিয়নের নবনির্মিত ভূমি অফিসের সামনে একটি কড়াই গাছ ও দক্ষিণে পেট্রোল পাম্পের সামনে দুটি রেইনন্ট্রি গাছ কর্তন করা হয়।
এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে রাস্তার দু’ধারের গাছগুলো। তবে জেলাপরিষদের তদারকির অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। যার ফলস্বরূপ সড়কের দু’পাশে থাকা লোকজন প্রথমে কারণে-অকারণে গাছের ডাল-পালাগুলো কেটে নেন। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই বিশাল আকৃতির গাছ তিনটি কাটা হয়। আর এ গাছগুলো কর্তনে জেলা পরিষদের কোনো অনুমতি ছিল না। পরে সে গাছের গোলাইগুলো ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে রাখা হয়। আর সেখান থেকেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে এ গাছের গোলাইগুলো।
গাছগুলো ঝুকিপূর্ণ থাকায় তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের জিম্মায় এনে রাখা হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন, এলজিএসপির বরাদ্দে সেই গাছগুলো দিয়ে কাঁঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। পকেটস্থ করেছেন চেয়ারম্যান এলজিএসপির বরাদ্দের সেই অর্থ।

স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম হোসেন সুমন বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গাছগুলো রাস্তার হেলে পড়লে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদার-মেম্বারেরা গাছ কেটে নিরাপদে রাখার জন্য পরিষদ মাঠে রাখে। এখন সেখান থেকে ২/৩টি গুল আছে। টেন্ডার ছাড়াই কাটা গাছগুলো বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছে।’
ছাত্রলীগ নেতা শান্তি মিয়া বলেন, ‘কড়াই ও দুইটি রেইনট্রি গাছ কেটে চেয়ারম্যান বিক্রি করেছে। শুনেছি এলজিএসপির বরাদ্দে কাঠের সাঁকোয় গাছের কিছু গোলাই দিয়ে সাঁকোর কাজ করেছে। শুধু গাছই আত্মসাৎ নয়, ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিটি কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে।’

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘গাছগুলো আমি কর্তন করিনি। জেলার পরিষদ সড়কের গাছ তিনটি ঝড়ে পড়ে গিয়েছিল। যানচলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয় লোকজন সেগুলো কর্তন করেন। পরে কর্তন করা গাছের গোলাইগুলো ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে রেখে দেন তারা। আর এই গাছ দিয়ে এলজিএসপির কোনো কাঠের সাঁকো করা হয়নি।’
সুষ্ঠু তদন্তের দাবী এলাকাবাসীর। দ্রুত তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার স্থানীয় সচেতনমহল।
জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানি। মালগুলো সিজার লিস্ট করা আছে। দ্রুত নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। সিজার লিস্ট অনুযায়ী মাল না পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’